আজ ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি

এডিবি’র রিপোর্টে ব্যাপক সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক করিডর


অনলাইন ডেস্কঃ অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। এ সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে ৭ কোটি ১৮ লাখ কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া ২০৪০ সালের মধ্যে হবে ৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মসংস্থান এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ১ কোটি ২৭ লাখ কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি এই সুবিধা কাজে লাগানো গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা বাড়বে ২৮৬ বিলিয়ন ডলার, যা টাকার অংকে ৩১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

‘বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডর ডেভেলপমেন্ট হাইলাইটস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সন্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এটি প্রকাশ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজার রহমান ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনের (বেজা) চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিব) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মি. সুন চ্যাং হোং।

প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, যদি করিডর সুবিধা ব্যবহার করা না যায় তা হলে ২০৫০ সালে কর্মসংস্থান হবে ৩ কোটি ১১ লাখ। আর এই সুবিধা ব্যবহার করা গেলে হবে ৭ কোটি ১৮ লাখ কমংস্থান। এ ছাড়া ২০২৫ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ, ব্যবহার করা গেলে ১ কোটি ৫৭ লাখ। ২০৩০ সালে সুবিধা ব্যবহার করা না গেলে ১ কোটি ৭০ লাখ, আর ব্যবহার করা গেলে হবে ২ কোটি ৩৪ লাখ কর্মসংস্থন। ২০৩৫ সালে সুবিধা কাজে না লাগানো গেলে ২ কোটি ১০ লাখ, সুবিধা কাজে লাগালে হবে ৩ কোটি ৪৭ লাখ কর্মসংস্থান হবে। এ ছাড়া ২০৪০ সালে কর্মস্থান হবে ২ কোটি ৪৮ লাখ। তবে করিডর সুবিধা কাজে লাগানো গেলে হবে ৪ কোটি ৬২ লাখ কর্মসংস্থান।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, অর্থনৈতিক করিডরের তিনটি পরিপূরক উপাদান রয়েছে— একটি বাণিজ্য ও পরিবহণ করিডর উৎপাদন ক্লাস্টার, যা অভ্যন্তরীণ বাজারে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উভয়ই ব্যবহারের জন্য পণ্য উৎপাদন করে। এ ছাড়া শহুরে কেন্দ্রগুলো উৎপাদনকেন্দ্র থেকে পণ্যগুলোর প্রধান বাজার হিসাবে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যের জন্য তারা শ্রম প্রযুক্তি, সহায়তা পরিষেবা, জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের উৎস হিসাবেও কাজ করে।

এই তিনটি উপাদান একটি সাধারণ উন্নয়ন ব্লু প্রিন্টে যুক্ত করা হয়, যা উপযুক্ত নীতি সমর্থন এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মাধ্যমে সম্ভব। অর্থনৈতিক করিডর উন্নয়নের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হলো স্বল্পোন্নত অঞ্চলের একীকরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পায়।

বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ-পশ্চিম প্রধান পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। তাই বাংলাদেশের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থজুড়ে অভিন্ন, সামগ্রিক এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডরকে (বিইসি) দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল (খুলনা বিভাগ) থেকে উত্তর-পূর্ব অঞ্চল (সিলেট) পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ধারণা দেওয়া হয়েছে।

তথ্যসূত্র: যুগান্তর


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর